মাশরুম চাষ পদ্ধতি - AN OVERVIEW

মাশরুম চাষ পদ্ধতি - An Overview

মাশরুম চাষ পদ্ধতি - An Overview

Blog Article

শাহরিয়ার আলম ও দিলীপ আগরওয়ালার হিসাব তলব

আপনার চাষ করা মাশরুম কোনো ভালো জায়গায় বিক্রি করার জন্য দুটি বিষয় মনে রাখতে হবে। একটি হলো মাশরুমের ভালো মান এবং অন্যটি হলো মাশরুমের উৎপাদনের পরিমাণ।আপনার চাষ করা মাশরুম এর যদি ভালো মানের হয় ভালো দাম পাবেন।

 জায়গাটি পোকা-মাকড়মুক্ত রাখতে হবে। মাছি মাশরুম চাষে অনেক ক্ষতি করে থাকে।

ভার্মি কম্পোস্ট কি? কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট এর উপকারিতা

হাই প্রোটিনযুক্ত এই ছত্রাক জাতীয় পরজীবী উদ্ভিদ খাদ্য হিসাবে অত্যন্ত পুষ্টিকর। খুব সহজেই এই চাষ ঘরে বসে করা যায়। ডাক্তারি মতে মাশরুমে প্রোটিন বাদে অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন আছে, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে বানিজ্যিকভাবে অয়েস্টার বা ঝিনুক মাশরুমের চাষই বেশি হয়ে থাকে। অয়েস্টার বা ঝিনুক মাশরুম চাষের জন্য প্রধানত তিনটি উপকরণের দরকার হয়। আমরা যদি মাশরুম চাষ পদ্ধতি ভালভাবে জানি তাহলে এটি আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় একটি অর্থনৈতিক উপাদান হতে পারে। উপকরণগুলো হচ্ছে- more info স্পন বা মাশরুমের বীজ, খড় ও পলিথিনের ব্যাগ।

মনে রাখা দরকার, ঘর অন্ধকার হলেও তা যেন একেবারে বদ্ধ না হয়। হাওয়া চলাচলের অবকাশ যেন সেই ঘরে থাকে। কিছু দিন পরেই প্যাকেটে সাদা আস্তরণ দেখা দেবে, যাকে মাইসেলিয়াম বলে। কয়দিনের মধ্যে পুরো ব্যাগটা মাইসেলিয়ামে ভরে যাবে। তুলোগুলো বার করে নিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে আর কয়েকটা ফুটো করে নিয়ে, ব্যাগটাকে আলোর মধ্যে রেখে দিতে হবে।

লাভজনক কৃষি চাষাবাদ ব্যবসা করার জন্য প্রথমে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। মাশরুম চাষ করার জন্য হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এক্ষেত্রে একা না পারলে কিছু লোক একত্রে মিলেমিশে মাশরুম চাষ করেও সফলতা পেতে পারেন।

বাংলাদেশের অনেক এলাকায়ই বর্তমানে মাশরুম চাষ করা হয়। এগুলোর মধ্যে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহীসহ সারাদেশেই বর্তমানে মাশরুম চাষ করা হচ্ছে।

খাদ্য হিসেবে মাশরুম অতুলনীয়। এটি হাই প্রোটিনযুক্ত একটি খাবার। এই খাবারটি হজমও হয় খুব তাড়াতাড়ি। মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। প্রাচীনকাল থেকেই এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ, সুস্বাদু ও দামী খাবার হিসেবে বিবেচিত। মাশরুমে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

চাছার পর ব্যাগটি পরিষ্কার পানিতে ২১-৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

কম চর্বি, কোলোস্টেরকমুক্ত এবং লিনোলেয়িক এসিড সমুদ্ধ হওয়ায় মাশরুম হৃদরোগীদের জন্যও খুব উপকারী।

২/৩ দিন পর ব্যাগের কাটা অংশ দিয়ে সাদা পিন সদৃশ অংশ দেখা যায়। আরো ২/৩ দিন পর মাশরুম বড় হলে সংগ্রহ করতে হবে।

আশাকরি মাশরুম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার অনেক ভাল ধারণা হয়েছে। এখন, আপনি চাইলে ঘরে বসেই মাশরুম চাষ করে সাবলম্বী হতে পারবেন। যারা বেকার রয়েছেন তারাও এই মাশরুম চাষ করতে পারেন। এই মাশরুম চাষ করে অনেক নারীই এখন সাবলম্বী হচ্ছেন। মাশরুম চাষ করার ফলে এটি আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখতে পারে।

মাশরুম ক্লোরোফিলবিহীন ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ এবং নতুন ধরনের সবজি যা সম্পূর্ণ হালাল, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও উচ্চ খাদ্যশক্তি এবং ভেষজগুণে ভরপুর। এটি একটি ঔষধিগুণ সম্পূর্ণ খাবার। এর মধ্যে রয়েছে ২৫-৩০% প্রোটিন যা অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভেজাল। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে এটি বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে। এটির রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার যেমন:-

Report this page